আমের রাজা হিমসাগরের স্বাদ ও বৈশিষ্ট্য
হিমসাগর (Himsagor) আম কে আমের রাজা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এর মনমাতানো ঘ্রাণ আর রসালো শাস একে অন্যান্য আম থেকে আলাদা করে। ত্বক মসৃণ ও খোসা পাতলা হয়ে থাকে হিমসাগর আমের। শাঁস নরম, আঁশবিহীন ও হলুদ – কমলা রঙের হয়। এই আম সুদূর সাতক্ষীরার আম বাগান থেকে সংগ্রহ করা হয়।
সাতক্ষীরা ছাড়াও এটি চুয়াডাঙ্গা এবং মেহেরপুর এ উৎপাদিত হয়। রাজশাহীতেও এই আম অনেক পরিমাণে দেখা যায়। এই আমের চাহিদা বরাবরই বেশি। Good manufacturing practice (GMP) সহ Food Safety অনুসরণ করে ৭টি ধাপ অতিক্রম করে ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেয়া হয় হিমসাগর (Himsagor) আম।
Tajaaz হিমসাগর আম সংরক্ষণ ও পরিবহনের সঠিক পদ্ধতি
১। পরিবহন এবং সংরক্ষণের সুবিধার্থে আমরা পরিপক্ক কিন্তু কাঁচা আম সরবরাহ করে থাকি। কেননা এই আম সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করলে ধীরে ধীরে পেকে যাবে ইনশা আল্লাহ।
২। সংরক্ষণের জন্য আম কার্টুন থেকে বের করে বোঁটা থাকলে তা ফেলে দিয়ে উপুড় করে পাটের বস্তা বা নরম কাপড়ের উপর বিছিয়ে রাখুন যাতে আমের কষ বের হয়ে যেতে পারে। প্রতিটি আম ভার্জিন পেপার অর্থাৎ কালিমুক্ত কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে রাখুন। দুই-একদিনের মধ্যেই আম খাওয়ার উপযুক্ত হবে ইনশা আল্লাহ্।
৩। আম শুষ্ক ও আলোবাতাসপূর্ণ স্থান এবং স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন। কার্টুনে কিংবা গরম তাপমাত্রায় রাখলে আম পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৪। আম পরিপক্ক হওয়ার পর অনতিবিলম্বে খেয়ে ফেলার অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষ করে হিমসাগর পাকার পর রেখে দিলে বোঁটার দিকে পচন ধরে।
৫। পরিবহনজনিত কারণে আম বা লিচুতে কোন সমস্যা পেলে বা আম কিছুদিন সংরক্ষণের পরও না পাকলে অনতিবিলম্বে আমাদের জানানোর অনুরোধ রইল।
৬। আম খাওয়ার অন্তত ২০ মিনিট আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে করে আমের স্বাদ, পুষ্টিমান দুটোই বাড়বে।
হিমসাগর আমের প্রকৃত পরিচয়
বাজারে প্রাপ্ত নানান জাতের আম কে হিমসাগর বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ করে ক্ষীরসাপাত আমের সাথে এই আম গুলিয়ে ফেলেন অনেকে। তবে এরা সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রজাতির আম। তাই এই আম কেনার ক্ষেত্রে একটু সচেতনতা প্রয়োজন।
এই আমের বহিরাবরণ হবে হালকা সবুজ। পাকার পরও সবুজ থেকে যায়। খোসা পাতলা এবং ত্বক মসৃণ। এ আমের ঠোঁট নেই, গড়ন বুকের দিকটা গোলাকার এবং অবতল থেকে সামান্য লম্বাটে আকার নিয়ে শীর্ষদেশ গোলাকৃতির হয়ে থাকে।
Reviews
There are no reviews yet.